ঝড়ের কবলে পড়ে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে কয়লা বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পশুর নদীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় ডুবো চরে আটকে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়। বন্দরে অবস্থানরত একটি বানিজ্যিক জাহাজ থেকে ৮০০শ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে যশোরের নোয়াপাড়া এলাকায় যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় অসাবধানতাবসত ডুবো চরে আটকে তলা ফেটে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১। এসময় জাহাজটিতে থাকা মাষ্টারসহ ১২ জন নাবিক ছিল, তারা সাতার কেটে অক্ষত অবস্থায় দ্রুত কিনারে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে জাহাজটি পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের সিগনাল টাওয়ার এলাকার চরের অংশে ডোবার ফলে বন্দরের মুল চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ ও ঝুকি মুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ কার্গো লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন'মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু কার্গো জাহাজ মালিকের বরাত দিয়ে জানান, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে 'এম,ভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী' যশোরের নওয়াপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর শুক্রবার সকালের দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের অংশের ডুবে চরে আটকে যায় জাহাজটি। এতে জাহাজটির তলা ফেটে গেলে জাহাজটি যথাসম্ভব বাচাতে মাস্টার দ্রুত চালিয়ে চরে উঠিয়ে দেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি জাহাজটির। ভাটায় জাহাজের সামনের ও পিছনের অংশ দেখা গেলেও মুলত জোয়ারের সময় ডুবে থাকছে বাকী বেশির ভাগ অংশই। জাহাটিতে থাকা ১২জন ষ্টাফ তাৎক্ষণিক সাতরিয়ে কুলে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ৮শ মেট্টিক টন জ্বালানী কয়লা রয়েছে।
জাহাজ মালিক বশির হোসেন বলেন, ডুবে চরে আটকে তলা ফেটে গেলে জাহাজের মাস্টার (চালক/ড্রাইভার) দ্রুত চালিয়ে জাহাজটি চরকানার চরে উঠিয়ে দেন। এতে জাহাজসহ পরিবহন করা কয়লার বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।