বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাবিতে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২২

জাবিতে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে পাঁচজনকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অমিতাভ দাস।

খেলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে আজ থেকে। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের। খেলার একেবারে শেষের দিকে গোলপোস্ট বরাবর আক্রমণ করে আ ফ ম কামালউদ্দিন হল। তবে গোল হওয়ার আগেই একটি ফাউল ধরেন রেফারি সৌমিক পাল। অন্যদিকে রেফারির সিদ্ধান্ত ‘অযৌক্তিক’ সাব্যস্ত করে সেটিকে গোল বলে দাবি করেন আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই হলের শিক্ষার্থীরা।

তবে প্রক্টরিয়াল বডি ও সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর খেলা বাদ রেখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নিজেদের হলের দিকে ফিরে আসেন। কিন্তু দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে আবারো মুখোমুখি অবস্থান নেন। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান তারা। সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের এক উপ-পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোলের আগেই ফাউলের বাঁশি দেন রেফারি। আমরা এই ম্যাচের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিব। তবে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা না পেলে আমরা খেলা পরিচালনা করতে পারবো না। এভাবে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতি যদি শিক্ষার্থীরা অনাস্থা প্রকাশ করেন তবে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন। সকল দলের উচিৎ রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানানো।

এ বিষয়ে প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফী বলেন, খেলা চলাকালে রেফারির একটি সিদ্ধান্তে দুই হলের শিক্ষার্থীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। একই ঘটনার জেরে রাতে দুই হলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতার অন্য খেলাগুলো চলমান রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিকেলে খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়ায়। আমরা হল দুটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
0 Comments